নিউজ ডেস্কঃ
গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধোনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বকাপের পর থেকেই নানা সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল তার অবসর নিয়ে। কিন্তু বরাবরই নীরব ছিলেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক। আজ শনিবার ৩৯ বছর বয়সী ইতি টেনে দিলেন জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের।
শনিবার সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে সবাই আমাকে যেভাবে ভালোবেসেন এবং সমর্থন জুগিয়েছেন, এজন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। ৭টা ২৯ মিনিট (আজ) থেকে আমাকে সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে ধরে নিন।’
২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামের ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন ধোনি। এরপর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে করেন যাত্রা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রঙিন পোশাকের ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আর ওয়ানডে খেলেছেন গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। ওটাই তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ৷ বিশ্বকাপের পর ভারত অনেকগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেললেও কোনও সিরিজেই দেখা যায়নি ধোনিকে। আর আজ ভারতের জার্সি চিরদিনের জন্য খুলে ফেলার ঘোষণা দিলেন তিনি।
ভারতের হয়ে ৯০ টেস্ট, ৩৫০ ওয়ানডে আর ৯৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ১৬ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১৭ হাজার ২৬৬ রান।
অধিনায়ক হিসেবে দারুণ সফল ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। ২০১৭ সালের ওয়ানডে ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে সুযোগ করে দেন তরুণ বিরাট কোহলিকে। অধিনায়ক হিসেবে ধোনির যা অর্জন, তা শুধু ভারত নয় বিশ্বের আর কোনও অধিনায়কই অর্জন করতে পারেননি। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে তিনি আইসিসির প্রতিটি শিরোপা জয় করেছেন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়, এরপর ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে জিতেছেন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এছাড়া ধোনির নেতৃত্বেই প্রথমবারের মত আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসে ভারত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে দেখা যাবে ধোনিকে।